সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
ProdhanKhabor | Popular NewsPaper of Bangladesh
সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন করে লড়াইয়ের জন্য তৈরী হতে হবে: ডা: শফিকুর রহমান নেই শৃঙ্খলা প্রতিদিন পথে ঝরেছে ১৫ প্রাণ : সেভ দ্য রোড জমকালো আয়োজনে টপ পারফর্মার অ্যাওয়ার্ড বিতরণ নৈয়াইর ইসলামিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষক কামাল উদ্দীনকে অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা কুমিল্লা ইয়ুথ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের কমিটিতে লিপু সভাপতি, ইমরান সেক্রেটারি কুমিল্লা-২ হোমনা-মেঘনা আসনে যোগ্য প্রার্থী এপিএস আব্দুল মতিন দাউদকান্দি পৌরসভার ৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দাউদকান্দিতে দিনব্যাপী ফ্রি স্বাস্থ্য ক্যাম্প ওষুধ বিতরণ আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে দাউদকান্দিতে যুব জামায়াতের উদ্যোগে মানববন্ধন দাউদকান্দিতে আলেম ওলামা ও রাজনীতিবিদের সাথে মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান দাউদকান্দিতে ধানসিঁড়ি সমাজ কল্যানের উদ্যোগে ময়লার ভাগাড় পরিচ্ছন্নতা অভিযান তারেক রহমান: গণতান্ত্রিক চেতনায় নেতৃত্বের নতুন প্রতীক ডেঙ্গুর হটস্পট দাউদকান্দিতে জামায়াতের উদ্যোগে মশা নিধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বাগেরহাটের চিতলমারী কলাতলা ইউনিয়ন উন্নয়ন ফোরামের কমিটি গঠন শব্দটা ‘সাংবাদিক’ না ‘রিপোর্টার’? জানতে পড়ুন শিক্ষার মান উন্নয়নে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অবদান স্বরণীয় হয়ে থাকবে : খন্দকার মারুফ দাউদকান্দিতে কৃষকদের নিয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ডেঙ্গু পরিক্ষা ও ওষুধ বিতরণ অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে নিরাপদ খাদ্য সচেতনতায় ব্যবসায়ী ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বাবা দিবস উপলক্ষে আউটস্ট্যান্ডিং ফাদার অ্যাওয়ার্ড প্রদান

চিত্রনায়ক সোহেল হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

চিত্রনায়ক সোহেল হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ মামলার আসামি আশীষ রায় চৌধুরীর জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়, সেলিম আশরাফ চৌধুরী ও এম হারুনুর রশীদ খান। আসামি আশীষ চৌধুরীকে চলতি বছর ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট জামিন দেন।

ওই জামিন স্থগিত চেয়ে প্রথমে চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৬ জানুয়ারি ওই আবেদনে শুনানির পর চেম্বার আদালত আশীষের জামিন স্থগিত করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।

এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ আশীষের জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরেক আদেশে আপিল বিভাগ এ মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি মুলতবি করেন। এ আদেশের পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলটি গত ২৯ অক্টোবর শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, ছয় মাস সময় এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আপিল বিভাগের আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। তখন সর্বোচ্চ আদালত বিচারককে কারণ দর্শাতে বলেন।

কেন মামলাটির বিচারকাজ ছয় মাসে শেষ করতে পারেননি, এক সপ্তাহের মধ্যে সে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সে ধরাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি সোমবার শুনানিতে উঠলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে বিচারকের ব্যাখ্যা আপিল বিভাগে উপস্থাপন করা হয়।

আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক পরে সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগে আজ বিচারকের ব্যাখ্যাটি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিচারক ব্যাখ্যায় বলেছেন, এটি পুরোনো মামলা। বারবার সমন দিয়েও সাক্ষীদের হাজির করানো যাচ্ছে না। অনেক সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আর যেসব পুলিশ সদস্যকে সাক্ষী করা হয়েছিল, তাদের অনেকেই অবসরে চলে গেছেন। তাদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় শুধুমাত্র বিচারকের পক্ষে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপর আপিল বিভাগ মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আবার ছয়মাস সময় দিয়েছেন বিচারিক আদালতকে।

আর আশীষ রায় চৌধুরীকে যে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট, সে জামিনটি বহাল রেখেছেন। এ মামলায় ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল। আগামী ২৬ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন রেখেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদ।

বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনে শুনানির হাইকোর্ট মামলার বিচারকাজ স্থগিত করেন। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন হাইকোর্ট।

এরও সাত বছর পর গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এলে সাক্ষ্যগ্রহণের উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। পরে ২৮ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

পিকে/এসপি
নতুন করে লড়াইয়ের জন্য তৈরী হতে হবে: ডা: শফিকুর রহমান

নতুন করে লড়াইয়ের জন্য তৈরী হতে হবে: ডা: শফিকুর রহমান